গাজীপুরে একটি আসন বাড়বে, বাগেরহাটে একটি কমবে: নির্বাচন কমিশন

 

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনেছবি: সংগৃহীত     prothomalo news




জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানোর এবং বাগেরহাটে একটি আসন কমানোর প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন। 


আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। 

ইতিমধ্যে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে।


বর্তমানে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন ও গাজীপুরে পাঁচটি আসন রয়েছে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী বাগেরহাটে সংসদীয় আসন একটি কমে হবে তিনটি। 


আর গাজীপুরে একটি বেড়ে হবে ছয়টি সংসদীয় আসন। সীমানা নির্ধারণে গঠিত বিশেষায়িত কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন ও নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনের পর প্রস্তাবের বিষয়টি জানানো হয়েছে।



নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, বিশেষায়িত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোনো জেলার মোট ভোটার ও জনসংখ্যা বিশ্লেষণ করে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 


এ ছাড়া সারা দেশের ৩৯ থেকে ৪২টি আসনের সীমানায় ছোটখাটো পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আড়াই শতাধিক আসনের সীমানা বহাল থাকছে।


আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ৬৪ জেলার গড় ভোটার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৫০০ জন করে। 


এটা ধরে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ালে এবং বাগেরহাটে একটি কমালে সমতা চলে আসবে। বাকি অন্যান্য জেলায় আসন কমানো-বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।

এ ছাড়া যেসব সংসদীয় আসনের সীমানা সমন্বয় কিংবা কিছুটা পরিবর্তন করা হবে, ওই সব এলাকার নাম উল্লেখ করে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, 



নির্বাচন কমিশনে এ প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। কমিশন এর অনুমোদন দিয়েছে।


 সংসদীয় আসনগুলোর সীমানার খসড়া নিয়ে কোনো আপত্তি থাকলে ১০ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আপত্তি কিংবা দাবির শুনানি শেষে চূড়ান্ত সীমানার গেজেট প্রকাশ করা হবে।


আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, জনশুমারি-২০২২ অনুযায়ী কাজ করতে গিয়ে বিশেষ কারিগরি কমিটি শুমারিতে বেশ কিছু অসামঞ্জস্য পেয়েছে। 


নির্বাচন কমিশনের হালনাগাদ ভোটার তালিকা রয়েছে। ওই তালিকার মোট ভোটারের ভিত্তিতেই ২০ হাজার ৫০০ কমবেশি গড় ভিত্তিতে কারিগরি কমিটি গ্রেডিং তৈরি করে কোন জেলায় বেশি


 ভোটার, কোথায় কম, তা পর্যালোচনা করা হয়। এক থেকে তিন আসনবিশিষ্ট জেলাগুলোকে আসন বাড়ানো-কমানোর ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।


সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রস্তাব যেসব আসনে



পঞ্চগড়-১, ২; রংপুর-৩; সিরাজগঞ্জ-১, ২; সাতক্ষীরা-৩, ৪; খুলনা-১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬; শরীয়তপুর-২, ৩; ঢাকা-২, ৩, ৭, ১০, ১৪, ১৯; গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫, ৬; নারায়ণগঞ্জ-৪, ৫; সিলেট-১, ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ৩; কুমিল্লা-১, ২, ১০, ১১; নোয়াখালী-১, ২, ৪, ৫ এবং চট্টগ্রাম-৭ ও ৮ আসনে।


নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়, সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে এ পর্যন্ত দেড় হাজারের মতো আবেদন কমিশন পেয়েছে। 


এর মধ্যে ৪২টি আসনে ছোট-বড় সংশোধন, সমন্বয়ের প্রস্তাব কারিগরি কমিটি করেছে।






প্রথম আলোর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন






0 Comments

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post