রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকায় এক দম্পতিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার গাউস মিয়া আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
পুলিশের পল্লবী অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সালেহ মুহম্মদ জাকারিয়া প্রথম আলোকে বলেন, পল্লবীতে দম্পতি খুনের ঘটনায় গাউস মিয়া দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। ময়নাতদন্ত শেষে দুজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গাউস মিয়ার জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, খুন হওয়া দোলনা আক্তার ওরফে দোলার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দোলনা আক্তারের বিয়ে হয়েছে, সেটি তিনি জানতেন না।
গতকাল বুধবার সকালে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি। এরপর তিনি দোলনা আক্তার ও তাঁর স্বামী নাজমুল হাসান পাপ্পুকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।
পুলিশ জানায়, দোলনা আক্তার ও তাঁর স্বামী নাজমুল হাসানের বাড়ি বরগুনায়। কয়েক বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। দোলনা আক্তার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলএমে পড়ছিলেন। এ কারণে তিনি মিরপুর-১১ নম্বরে একটি ভবনের পাঁচতলায় ‘সাবলেট’
থাকতেন। তাঁর স্বামী নাজমুল বরগুনায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সেখান থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়া করতেন। দুই দিন আগে তিনি বরগুনা থেকে ঢাকায় আসেন।
জবানবন্দিতে গাউস মিয়া বলেছেন, তাঁর বাড়ি গোপালগঞ্জে। তিনি সৌদিপ্রবাসী। ফেসবুকে দোলনা আক্তারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তারপর তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত জানুয়ারিতে তিনি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে মিরপুরে একটি বাসা নেন। তার পর থেকে দোলনা আক্তারের সঙ্গে নিয়মিত দেখা হতো।
তবে দোলনা আক্তার বিবাহিত, সেটি তিনি জানতেন না। গতকাল সকালে দোলনা আক্তার ও তাঁর স্বামী নাজমুল হাসানকে একসঙ্গে দেখে তাঁদের অনুসরণ করেন গাউস মিয়া।
তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে বাসায় উঠতেও দেখেন তিনি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, দোলনা আক্তার বিবাহিত। সেটি জানার পরই বাসায় গিয়ে দোলনা আক্তার ও তাঁর স্বামী নাজমুল হাসানকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
প্রথম আলোর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
إرسال تعليق