গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শহরের রাজবাড়ী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
এতে যোগ দিয়েছেন সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম।
আজ শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে রাজবাড়ী সড়কে অবস্থান নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে বেলা আড়াইটার দিকে যোগ দেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।
সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, গতকাল শুক্রবার রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে লুটপাটের খবর পেয়ে ছাত্ররা বন্ধ করতে গেলে তাঁদের ওপর হামলা হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকালে গাজীপুর শহরের রাজবাড়ীর মাঠ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। বেলা দুইটার দিকে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে বসে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হামলাকারী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে ইতিমধ্যে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে দুপুরের পর থেকে সড়কে অবস্থান করে অবরোধ সৃষ্টি করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ও আহত শিক্ষার্থীরা বলছেন, ধানমন্ডিতে ভাঙচুরের ঘটনার পর তাঁরা গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেন যে কোথাও ভাঙচুর হলে তাঁদের জানাতে।
গতকাল রাতে তাঁদের কাছে খবর আসে, ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হচ্ছে। এটি শোনার পর লুটপাট বন্ধ করতে শিক্ষার্থীরা সেখানে রওনা দেন। এর মধ্যে ১৫ জন দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে যান।
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, লুটপাট হচ্ছে। এ সময় মাইকে ঘোষণা দিয়ে সেখানে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে যান। তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা আসার আগেই ওই ১৫ জনকে ছাদে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেন তাঁরা। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদেরও পেটান।
পুলিশকে জানানো হলে তারা দুই ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার করে। পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীও আসে।
إرسال تعليق