৬ মিনিটের জন্য বিশ্ব রেকর্ড হলো না রাভালের

 

জিৎ রাভাল। ছবিটি ২০১৯ সালে হ্যামিল্টনে বাংলাদেশ–নিউজিল্যান্ড টেস্টের


জিৎ রাভালকে মনে আছে?



২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২৪টি টেস্ট খেলেছিলেন এই ওপেনার। ক্যারিয়ারটা অবশ্য ঝলমলে ছিল না মোটেই। ৩০.০৭ গড়ে ১১৪৩ রান করার পথে একবারই মাত্র সেঞ্চুরি উদ্‌যাপন করতে পেরেছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ক্রিকেটার। 


টেস্ট ক্যারিয়ারের একমাত্র সেঞ্চুরিটা রাভাল পেয়েছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৯ সালে হ্যামিল্টন টেস্টে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে। 


যে ইনিংসে রাভালসহ নিউজিল্যান্ডের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই সেঞ্চুরি করেছিলেন, অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন তো অপরাজিত ছিলেন ২০০ করে। বাংলাদেশকে ৭১৫ রানে চাপা দিয়ে ম্যাচটি ইনিংস ব্যবধানে জিতেছিল কিউইরা।



সেই রাভাল পাঁচ বছর পর আবার শিরোনাম হলেন। এবারও সেঞ্চুরি করেই। নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট প্লাঙ্কেট শিল্ডে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টের বিপক্ষে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের দ্বিতীয় ইনিংসে আজ ১০৭ রান করে আউট হয়েছেন দলটির অধিনায়ক রাভাল। রাভাল ইনিংসটি শুরু করেছিলেন ৮ ডিসেম্বর শেষ বিকেলে।



প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৩তম সেঞ্চুরি করার পথে রেকর্ড বইয়ের একটি পাতা এলোমেলো করে দিয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী রাভাল। ৫৮৯ মিনিটে ৩৯৬ বল খেলে ১০৭ রান করা রাভাল সেঞ্চুরিটা পেয়েছেন ৫৫১ মিনিট খেলে। তাতে নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড ভাঙলেও বিশ্ব রেকর্ডটা বেঁচে গেছে ৬ মিনিটের জন্য।



৫৫১ মিনিট—সময়ের এই হিসাব দেখেই বুঝে নেওয়া যায়, রেকর্ড সময়ের  হিসাবে মন্থরতম সেঞ্চুরির। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৫৭ মিনিটে সেঞ্চুরি করে ১৯৭৭ সাল থেকেই যে বিশ্ব রেকর্ডের মালিক পাকিস্তানের মুদাসসর নজর। লাহোরের সেই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৫৯১ মিনিটে ৪৪৯ বল খেলে ১১৪ রান করেছিলেন পাকিস্তান ওপেনার।



দুই যুগ পর ২০০১ সালে রেকর্ডটা ভাঙার নিশ্বাস দূরত্বে চলে গিয়েছিলেন ভারতের সাবেক ওপেনার সদাগোপান রমেশ। রঞ্জি ট্রফিতে কেরালার বিপক্ষে ৫৫৬ মিনিটে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন ভারতের হয়ে ১৯টি টেস্ট খেলা ব্যাটসম্যান।




অল্পের জন্য বিশ্ব রেকর্ড ছুঁতে না পারা রাভাল নিউজিল্যান্ডের রেকর্ডে পেছনে ফেলেছেন ক্লাইভ র‍্যাডলিকে। ১৯৭৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৮৭ মিনিটে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন র‍্যাডলি।



প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বলের হিসাবে মন্থরতম সেঞ্চুরিটি কলিন কাউড্রের। ১৯৫৭ সালে এজবাস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৩৫ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন ১০০ টেস্ট খেলা প্রথম ক্রিকেটার।





0 Comments

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post